WORKERS OF THE WORLD UNITE
Thursday, April 23, 2020
DA Freeze করার আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রেস বিবৃতিঃ-
এটা ঠিক সারা দুনিয়ার অনেক দেশের মতো আমাদের দেশও একটা নজিরবিহীন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারী দপ্তর/ অটোনোমাস সংস্থার কর্মচারী/অবসরপ্রাপ্তরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। সেই উপলব্ধি থেকে দেশের স্বার্থে আত্মত্যাগে কর্মচারীরা/অবসরপ্রাপ্তরা প্রস্তুত। সেই কারণেই আমরা PM National Relief Fund এ একদিনের বেতন দিতেও আগ্রহী। যদিও সেই সুযোগ কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীদের দেয় নি। উল্টে এমন একটি নতুন ফান্ডে একদিনের বেতন দিতে বলে যে ফান্ড সম্পর্কে কর্মচারীদের কোনো ধারণাই নেই। এই প্রেক্ষাপটে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নানান সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী/ অবসরপ্রাপ্তরা।
কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী/ অবসরপ্রাপ্তরাও শ্রমজীবী মানুষেরই অংশ। এমন নয় আর্থিক বিপর্যয় সহ বর্তমান জাতীয় সংকট তাঁদের জীবন-জীবিকাকে স্পর্শ করেনি। এই পরিস্থিতিতে যে কায়দায় জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত DA Freeze করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা যেমন কর্মচারীদের জীবন-জীবিকার উপর ব্যাপক আঘাত নামিয়ে আনলো, বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্তদের উপর একই ভাবে বাজারের চাহিদার উপর, সামাজিকভাবে তার প্রভাব হবে গুরুতর। অথচ এই সিদ্ধান্তের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা আদায়ের অন্য পথ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে খোলা ছিল। কর্পোরেটদের কাছে বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের যে মোট পাওনা তার সামান্য অংশ আদায়ের উদ্যোগ নিলেই কর্মচারীদের DA Freeze করার মতো সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন হতো না। অর্থাৎ জাতীয় সংকট মোকাবিলায় কর্পোরেটদের ছাড় দিয়ে সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারী, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষকেই একতরফা বেছে নিলো কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে সিআইটিইউ সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের কনফেডারেশনের আগাম আবেদনকেও উপেক্ষা করা হলো। কেন্দ্রীয় সরকার এতটাই নির্মম যে ভবিষ্যতে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বর্ধিত/বকেয়া মহার্ঘভাতা পে করার সুযোগও নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজের ঘন্টা বাড়ানো, ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধ করা, মজুরি কমানোর যে ভাবনা মালিকশ্রেণি করছে, তার ধারাবাহিকতা হিসাবেই চিহ্নিত করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের উপর উদারনীতিকেই আরও নগ্নভাবে কার্যকর করছে কেন্দ্রীয় সরকার।এর ফলে কর্পোরেটদের পক্ষ্যে, সাধারণ মানুষের বিপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রেণি-গত অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট হলো।
আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছি। অবিলম্বে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্তত পক্ষ্যে ভবিষ্যতে সমস্ত বকেয়া মহার্ঘভাতা ( যে সময়ের জন্য ফ্রিজ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে) এরিয়ার সহ পে করার নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এখনই ঘোষণা করা হোক।
যাইহোক কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লকডাউনের পরিস্থিতিতেও নিয়ম-নীতি মেনেই আগামী ২৭ এপ্রিল এই রাজ্যে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী/ অর্থমন্ত্রীকে প্রতিবাদ-দাবিপত্র মেইল করা হবে। যে অফিস গুলো খোলা আছে সেখানে টিফিনের সময়। আর অন্য ক্ষেত্রে বাড়িতে কর্মচারী/ অবসরপ্রাপ্তরা দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, সংগঠনের ফেস্টুন সহযোগে। সামগ্রিক প্রচারে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা হবে সোশ্যাল মিডিয়াকেও।
জনার্দন মজুমদার
সাধারণ সম্পাদক
কেন্দ্রীয় সরকারী শ্রমিক কর্মচারী সমিতি সমূহের কো-অর্ডিনেশন কমিটি, পঃবঃ।
মানব সেনশর্মা
সাধারণ সম্পাদক
দ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি অব সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট পেনশনার্স এসোসিয়েশন, পঃবঃ।
এটা ঠিক সারা দুনিয়ার অনেক দেশের মতো আমাদের দেশও একটা নজিরবিহীন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারী দপ্তর/ অটোনোমাস সংস্থার কর্মচারী/অবসরপ্রাপ্তরা যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। সেই উপলব্ধি থেকে দেশের স্বার্থে আত্মত্যাগে কর্মচারীরা/অবসরপ্রাপ্তরা প্রস্তুত। সেই কারণেই আমরা PM National Relief Fund এ একদিনের বেতন দিতেও আগ্রহী। যদিও সেই সুযোগ কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীদের দেয় নি। উল্টে এমন একটি নতুন ফান্ডে একদিনের বেতন দিতে বলে যে ফান্ড সম্পর্কে কর্মচারীদের কোনো ধারণাই নেই। এই প্রেক্ষাপটে গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নানান সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী/ অবসরপ্রাপ্তরা।
কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী/ অবসরপ্রাপ্তরাও শ্রমজীবী মানুষেরই অংশ। এমন নয় আর্থিক বিপর্যয় সহ বর্তমান জাতীয় সংকট তাঁদের জীবন-জীবিকাকে স্পর্শ করেনি। এই পরিস্থিতিতে যে কায়দায় জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত DA Freeze করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা যেমন কর্মচারীদের জীবন-জীবিকার উপর ব্যাপক আঘাত নামিয়ে আনলো, বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্তদের উপর একই ভাবে বাজারের চাহিদার উপর, সামাজিকভাবে তার প্রভাব হবে গুরুতর। অথচ এই সিদ্ধান্তের ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের যে অর্থ সাশ্রয় হবে তা আদায়ের অন্য পথ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে খোলা ছিল। কর্পোরেটদের কাছে বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের যে মোট পাওনা তার সামান্য অংশ আদায়ের উদ্যোগ নিলেই কর্মচারীদের DA Freeze করার মতো সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন হতো না। অর্থাৎ জাতীয় সংকট মোকাবিলায় কর্পোরেটদের ছাড় দিয়ে সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারী, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষকেই একতরফা বেছে নিলো কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে সিআইটিইউ সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের কনফেডারেশনের আগাম আবেদনকেও উপেক্ষা করা হলো। কেন্দ্রীয় সরকার এতটাই নির্মম যে ভবিষ্যতে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বর্ধিত/বকেয়া মহার্ঘভাতা পে করার সুযোগও নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজের ঘন্টা বাড়ানো, ট্রেড ইউনিয়ন বন্ধ করা, মজুরি কমানোর যে ভাবনা মালিকশ্রেণি করছে, তার ধারাবাহিকতা হিসাবেই চিহ্নিত করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের উপর উদারনীতিকেই আরও নগ্নভাবে কার্যকর করছে কেন্দ্রীয় সরকার।এর ফলে কর্পোরেটদের পক্ষ্যে, সাধারণ মানুষের বিপক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রেণি-গত অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট হলো।
আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছি। অবিলম্বে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অন্তত পক্ষ্যে ভবিষ্যতে সমস্ত বকেয়া মহার্ঘভাতা ( যে সময়ের জন্য ফ্রিজ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে) এরিয়ার সহ পে করার নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এখনই ঘোষণা করা হোক।
যাইহোক কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লকডাউনের পরিস্থিতিতেও নিয়ম-নীতি মেনেই আগামী ২৭ এপ্রিল এই রাজ্যে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী/ অর্থমন্ত্রীকে প্রতিবাদ-দাবিপত্র মেইল করা হবে। যে অফিস গুলো খোলা আছে সেখানে টিফিনের সময়। আর অন্য ক্ষেত্রে বাড়িতে কর্মচারী/ অবসরপ্রাপ্তরা দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, সংগঠনের ফেস্টুন সহযোগে। সামগ্রিক প্রচারে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করা হবে সোশ্যাল মিডিয়াকেও।
জনার্দন মজুমদার
সাধারণ সম্পাদক
কেন্দ্রীয় সরকারী শ্রমিক কর্মচারী সমিতি সমূহের কো-অর্ডিনেশন কমিটি, পঃবঃ।
মানব সেনশর্মা
সাধারণ সম্পাদক
দ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি অব সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট পেনশনার্স এসোসিয়েশন, পঃবঃ।
FREEZING OF DEARNESS ALLOWANCE AND DEARNESS RELIEF
Subscribe to:
Posts (Atom)